ইসলাম ধর্মের এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে অন্যান্য মহিলাদের সংগঠিতও করেছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা শাহবিনা। আর তাতেই মৌলবীদের কোপের মুখে পরেছেন নিদা। তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে ফতোয়া। ঘোষণা করা হয়েছে যে নিদার চুল কেটে আনতে পারবে, তাকে ১১ হাজার ৮৭৬ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। দেশ না ছাড়লে নিদেকে পাথর মারারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আর সম্প্রতি এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন শাহবিনা। এবার নিদার সমর্থনে এগিয়ে এলেন বলিউডের কোরিওগ্রাফার তথা পরিচালক ফারাহ খান। শাহবিনা ইস্যুতে সম্প্রতি টুইট করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফারাহ।
ফতোয়া প্রসঙ্গে ফারাহ টুইটে লিখেছেন, যিনি শাহবিনার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছেন দয়া করে কেউ এই মৌলানাকে গ্রেফতার করুন। নিজেই নিজেকে ধর্মের অভিভাবক দাবি করে কীভাবে কেউ এধরনের মন্তব্য করতে পারে? আমি কখনওই তাকে ধর্মগুরু হিসাবে মেনে নিতে পারি না, যিনি আমার ধর্মকে এভাবে ছোট করতে পারেন। আমি কি ওনাকে একটা সজোড়ে থাপ্পড় কষাবো?
পাশাপাশি এবিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে তিনি যে এক্কেবারেই ভীত নন, তাও জানিয়েছেন ফারাহ।
প্রসঙ্গত,বেরিলির গৃহবধূ শাহবিনাকে তার স্বামী তিন তালাক দেওয়ার পর হিল্লাহ্ বিয়ের মাধ্যমে তার শ্বশুরের সঙ্গে এক রাতের জন্য শুতে বাধ্য করা হয়েছিল – যাতে তিনি নিজের স্বামীকে আবার বিয়ে করতে পারেন।
কিন্তু সেই স্বামী আবার তাকে তালাক দিলে যখন তাকে বলা হয় দেবরের সঙ্গে রাত কাটালে তবেই তিনি আবার স্বামীকে বিয়ে করতে পারবেন। তখন শাহবিনা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। দেবরের সঙ্গে শুতে না-চাওয়ায় তাকে বাড়ি থেকেও বের করে দেওয়া হয়। শাহবিনা এরপর যোগাযোগ করেন লখনৌতে ‘আলা হজরত হেল্পিং সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা নিদা খানের সঙ্গে – যার জীবনের অভিজ্ঞতাও প্রায় একই রকম।
নিদা খানের বিয়ে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের একটি অভিজাত মুসলিম পরিবারের সন্তান উসমান রেজা খানের সঙ্গে। কিন্তু ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।নিদা খান তার স্বামীর দেওয়া তিন তালাকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে যান আর সেই মামলাও জেতেন।